২০২৪ সালের হজযাত্রীদের জন্য প্রায় ৪ কোটি জমজমের পানির বোতল প্রস্তুত করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে জামজমাহ কোম্পানি বোর্ড।
সৌদি নিউজ এজেন্সি এসপিএর বরাতে জানা যায়, এবার সৌদি কোম্পানি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে হজযাত্রীদের জন্য জমজমের পানি সহজলভ্য করতে ব্যবস্থাপনা সাজিয়েছে। হজযাত্রীরা প্রায় ৪ কোটিরও বেশি জমজমের পানির বোতল পাবেন, যেখানে প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য বরাদ্ধ রয়েছে ২২টি জমজম পানির বোতল।
সৌদি আরবের আল জামজামাহ কোম্পানি হজযাত্রীদের জন্য জমজমের পানির বোতল বিতরণ করবে। এবার ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি যেনো না থাকে তাই একটি দক্ষ পরিষেবা নিশ্চিত করতে কোম্পানি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে বলেও জানা যায়।
পবিত্র স্থান পরিদর্শনকারী সকল হজযাত্রীদের জন্য জমজমের পানির গুরুত্ব রয়েছে। একটি সঠিক হজযাত্রার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য, সৌদি কোম্পানি হজযাত্রীদের জমজমের পানির বোতল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আল জামজামাহ কোম্পানির বোর্ড সদস্য ইয়াসির সুসুর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিটি হাজি ২২ বোতল জমজমের পানি পাবেন। ইয়াসিরের মতে, হজযাত্রীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য ডিজিটাল চ্যানেল প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে একটি সুন্দর পরিষেবা নিশ্চিত করা যায়।
সৌদি নিউজ এজেন্সি এসপিএ আরো জানায়, বোতলগুলোতে বারকোড প্রিন্ট করা হবে যা সহজেই স্ক্যান করা যাবে। এই পদ্ধতিটি নিশ্চিত করবে যে অর্ডার পেতে এবং প্রয়োজনীয় হজযাত্রীদের কাছে জমজমের পানির বোতল সরবরাহ করতে ডিজিটাল রূপান্তরের সর্বোচ্চ মান ব্যবহার করা হয়।
হাজিদের মধ্যে এসব পানির বোতল যেন সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা যায়, সে জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সুসু আরও বলেন, তাদের মূল কার্যক্রম হবে মক্কা শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চল এবং এর প্রবেশ ও বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে।
জমজমের পানি বিদেশি হাজিদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কারণ তারা এগুলো নিজ দেশে নিয়ে এসে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে পারে আগামী ১৪ জুন। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর হজ করবেন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। গত বছর হজ করেছিলেন ১৮ লাখ মুসল্লি।