সাধারণত সিভি শব্দটি চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে শুধু ভালো চাকরির জন্যই সিভি প্রয়োজন হয় না, ভালো একটি বিয়ের জন্যও ভালো একটি সিভি প্রয়োজন হয়।
এখানে বলে রাখা ভালো চাকরির জন্য সিভি আর বিয়ের জন্য তৈরি সিভির কিছু পার্থক্য রয়েছে। তবে মূল ফরম্যাট কিন্তু একই। এই যেমন চাকরির সিভিতে যেমন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি ফোকাস করতে হয় তেমনি বিয়ের জন্য তৈরি সিভিতেও কিন্তু একই বিষয় গুরুত্ব দিতে হয়।
প্রথমে সিভি তৈরি করতে বসে মাই পারফেক্ট রিজিউম, ইনডিড, রিজিউম ডট কম, নভোরিজিউম, রিজিউম নাও, হ্লুম এর মতো ওয়েবসাইটগুলোতে একটু ঢুঁ মারুন। এখান থেকে পছন্দের টেমপ্লেট বেছে নিয়ে সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার সিভিটি তৈরি করে নিন।
এবার অফলাইনে এমএস ওয়ার্ডে সিভির বাকি অংশটুকু তৈরি করে নিন। প্রথমেই পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের সংক্ষেপে একটু বর্ণনা দিয়ে দিন।
আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ের তথ্যের শিরোনামের জায়গায় আপনার রক্তের গ্রুপ, ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য, আর্থিক অবস্থা, চাকরীজীবী হলে সেখানকার পদ ও পদবী, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিন। আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগার বিষয়গুলোও তুলে ধরুন সিভিতে। আপনার পারসোনালিটি কেমন সে বিষয়েও তথ্য দিন।
বিয়ের জন্য সিভি তৈরি করতে হয় মূলত অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে। তাই সিভিতে এমন সব তথ্য তুলে ধরতে চেষ্টা করুন যেসব তথ্য পুরোপুরি আপনাকেই তুলে ধরতে পারে।
সর্বশেষে সিভিতে তিনটি ছবি যোগ করে দিন। একটি স্টিল, একটি পাশ থেকে ও একটি ফুল ছবি( উচ্চতা বোঝার জন্য)।
যেহেতু বিয়েটা সারাজীবনের। তাই সিভি পছন্দ হলেই আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়বেন না ! পছন্দের পাত্র বা পাত্রী কেমন তা জানার জন্য অবশ্যই সরাসরি কথা বলুন। কথা বলার সময় পছন্দের ব্যক্তির আচরণগুলো ভালোভাবে খেয়াল করুন। তারপরই নিন বিয়ের সিদ্ধান্ত।