ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারত যাচ্ছে টাইগাররা। শক্তিশালী পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে টাইগাররা, তাই বাংলাদেশের জন্য ভারত কী ধরনের পিচ প্রস্তুত করবে সেটাই আলোচনায়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে পিচের কৌশল বদলায়নি ভারত। অর্থাৎ, চিদাম্বরমের স্লো উইকেটের পিচেই টাইগারদের বিপক্ষে খেলবে রোহিত শর্মারা।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের জন্য লাল মাটির পিচই প্রস্তুত করেছে ভারত। স্লো উইকেটের পিচ সাধারণত লাল মাটির হয়। তাই চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচের জন্য ভারত স্কোয়াডে চারজন স্পিনার রেখেছে। তারা হলেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবিন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদিপ যাদব।
এদিকে বাংলাদেশ স্কোয়াডেও ৪ স্পিনার রয়েছেন। তারা হলেন, সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সারাদিন অনুশীলন করেছে ভারত। ম্যাচের জন্য লাল মাটির পিচ প্রস্তুত করলেও ব্যাটাররা কালো মাটির পিচে অনুশীলন করেছেন। ভারতের নতুন বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মর্নি মরকেলও এদিন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের পর নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে হোমসিরিজের প্রস্তুতিও নিয়েছেন ভারতের ব্যটাররা। শুরুতে দুটি নেটে রোহিত শর্মা, যসস্বি জয়সওয়াল, শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও নিউজিল্যান্ডের অ্যাজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রাবিন্দ্রার কথা মাথায় রেখে অনুশীলন করেছেন তারা। তাদের অনুশীলনে বোলিং করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, এস অজিত রাম, এম সিদ্ধার্থ, পি ভিগনেশ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, লক্ষ্য জৈন ও হিমাংশু সিং। স্পিনারদের বিপক্ষে সুইপ ও রিভার্স সুইপ অনুশীলন করেছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। কনভেনশনাল সুইপের পাশাপাশি প্যাডেল সুইপও অনুশীলন করেছেন তারা।
বাংলাদেশ স্পিনার নির্ভর দল হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে পুরো ১০ উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। তাই ভারতের বিপক্ষেও তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদদের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকবে বাংলাদেশের।