জামালপুরের মেলান্দহে নিজ ঘর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় শাহিনা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দুরমুট মাজারের উত্তর পাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহিনা বেগম ওই এলাকার সেনাসদস্য আব্দুস সালামের স্ত্রী। পুলিশ, সিআইডি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী আব্দুস সালাম সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চট্টগ্রামে কর্মরত থাকায় শাহিনা বেগম বাড়িতে একাই থাকতেন। তার বড় মেয়ে সায়মা (১৭) ঢাকার একটি কলেজে পড়াশোনা করে ও ছোট ছেলে শুয়াইব (১০) স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিদিনের মতো শাহিনা বেগম ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় পাশের বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে গেটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে গলায় কাপড় পেঁচানো মৃত অবস্থায় খাটের ওপর উপুড হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রতিবেশী রুপু গৌড় বলেন, শাহিনা ভাবি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠেন। আজ সকাল ১০টার দিকে শাহিনা ভাবি ঘুম থেকে না ওঠায় প্রতিবেশী কয়েকজন নারী তাকে ডাকাডাকি করেন। অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরের দরজায় খোলা ছিল। শাহিনা বেগমকে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
রুপু গৌড়ের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, আমরা কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে শাহিনা ভাবিকে খাটের ওপর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই।
শাহিনা বেগমের ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, সকালে দুলাভাই আব্দুস সালাম ফোন দিয়ে জানান তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। পরে দুরমুট এসে অনেক লোকজন দেখি। ঘরে ঢুকে আমার বোনের মরদেহ দেখতে পাই।
মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিকভআবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করছে। সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।