বিশ্বে সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে এমপক্স নামের সংক্রামক রোগটি শনাক্ত করা হয়। এরপর ইউরোপ ও এশিয়াতেও এমপক্সে শনাক্ত রোগীর খবর আসছে। কঙ্গো ছাড়াও এখন পর্যন্ত বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তানে এমপক্স রোগী আক্রান্তের খবর মিলেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বর্তমানে সারা বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করেছে । এর আগে, ২০২২ সালে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। সেসময়েও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৭টি দেশে এমপক্স ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
কঙ্গো
২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ হাজার মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১০০ জনের বেশি। আক্রান্ত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বড় অংশই শিশু।
সুইডেন
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সুইডেনে প্রথম এমপক্স শনাক্ত হয়। দেশটির জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, এমপক্স শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি আফ্রিকার একটি দেশে থাকার সময় এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে এটিই প্রথম দেশ যেখানে এমপক্স শনাক্ত হয়।
বুরুন্ডি
আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির একাধিক জেলায় অন্তত ৬১ জনের এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।
রুয়ান্ডা
আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় ৪ জনের এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। দেশটিতে এ রোগে কেউ মারা যাননি।
উগান্ডা
আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডায় দুজনের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। দুজনই উগান্ডার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
পাকিস্তান
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে প্রথম এমপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর জানায়। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আরও দুই ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। তিনজনই মধ্যপ্রাচ্য থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানে ফিরেছেন। এ অবস্থায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করেছে।
কেনিয়া
গত ২৯ জুলাই কেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইবি এমপক্সে একজন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। দেশটিতে এই প্রথমবার এমপক্সে একজন আক্রান্ত হলেন। তবে ডব্লিউএইচওয়ের তথ্য অনুসারে, ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে কোনো মারা যাননি।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকায় সংক্রমিত এলাকাগুলোয় ভ্রমণকারীদের এমপক্স প্রতিরোধে টিকা নেয়ার সুপারিশ করেছে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি)।
তবে ইসিডিসি বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এমপক্স পরিস্থিতি নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা সত্ত্বেও এটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।