আবর্জনার স্তূপ থেকে বিকৃত এবং ক্ষত-বিক্ষত একাধিক নারীর দেহ পাওয়ার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি ৪২ নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে।
ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন অধিদপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ আমিন সোমবার (১৫ জুলাই) সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর ডাম্পিং সাইটে ৪২ নারীর দেহ ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একজন সিরিয়াল কিলারের সন্ধান পেয়েছি। এই সাইকোপ্যাথিক সিরিয়াল কিলারের কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। হত্যাকাণ্ডের শিকার এক নারীর ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসহ আটক হয়েছেন দ্বিতীয় সন্দেহভাজনক।’ খবর আল জাজিরার।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক ডগলাস কানজা বলেছেন, ‘অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তর এবং জাতীয় পুলিশ পরিষেবার যৌথ অভিযানে ৩৩ বছর বয়সী প্রধান সন্দেহভাজনকে স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৩টায় একটি বারের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট নয়টি ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহতদের ময়নাতদন্ত সোমবারই করা হবে। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে সন্দেহভাজকের এই বর্বরোচিত হত্যায় জড়িত থাকার বেশ কয়েকটি প্রমাণ উপস্থাপন করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) থেকে রাজধানীর দক্ষিণে মুকুরুর বস্তির পাশে আবর্জনার স্তূপ থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো একের পর এক বিকৃত ও খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার হতে থাকলে গোটা দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠে।