সেই ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জন্ম নিয়েছি জাতির পিতার ঘরে। এ দেশের কীভাবে ভালো হয়, মন্দ হয় আমাদের জানার কথা বেশি, আর কারও না। আর কেউ জানতে পারে না। জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পত্রিকায় সংবাদের সত্যতা নিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পত্র-পত্রিকা কী লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই। লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিজের আত্মবিশ্বাস ও বিবেক বিবেচনা দিয়ে কাজ করতে হবে। বরং দেখবেন পত্র-পত্রিকার সংবাদের কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে, সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। ওটা পড়ারও দরকার নেই। এটা হলো আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ।
পত্রিকা পড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না। কেন পড়ব? দেশটা আমার। দেশকে ভালোভাবে চিনি, জানি।
সোমবার (জুলাই ১৫) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর’ এবং ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা ২০১৫ সাল থেকে বৃদ্ধি করে দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বেতন বৃদ্ধির কারণ আমি চাই যারা কাজ করবেন তাদের যদি অনবরত নিজের সংসার নিয়ে চিন্তা থাকতে হয়, তাহলে দেশের কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না।
দুর্নীতি বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে কোনো অনিয়ম দেখা দেবে, আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। অবশ্যই এখন আমরা দুর্নীতির জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। দুর্নীতি ধরতে যাওয়ার পরে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়— আমরা এটা বিশ্বাস করি না। দুর্নীতি খুব কম লোকেই করে কিন্তু তার বদনামটা হয় বেশি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের বদনাম হবে কি না, সেটা কেয়ার করি না। আমি সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করে দেশের মানুষ কল্যাণে কাজ করে সেই ব্যবস্থাটা নিতে চাই। সেই পদক্ষেপটা নিয়েছি, কোনো মতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা আনার নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।