খুলনার কয়রায় শরিফুল ইসলাম নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। আহত ব্যবসায়ী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ছেলের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ও এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর মা মোছা. নুরুন্নাহার খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমার প্রতিবেশী কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিনের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ চলে আসছে। তারা প্রায় সময় আমার ছেলে শরিফুল ইসলামকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার ছেলে বড়বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিনসহ তার সঙ্গীয় আরও কয়েকজন মিলে শরিফুলকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বর্তমানে আমার ছেলে সেখানে আইসিইউতে রয়েছে। তার গায়ে, হাতে, বুকে ও মাথায় অসংখ্য কোপের দাগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামী আছাদুল সরদার বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-৮/৫৩। মামলা করার পর আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ার আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছি না।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনোভাবে জড়িত ছিলাম না। আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করছে।
কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘের ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর বাবা আছাদুল সরদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন । একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।