২৫ বছর অপেক্ষার পর বিএনপি থেকে জাপায় যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নাট্যকলাবিষয়ক সম্পাদক শেখ রুনা খান।
মঙ্গলবার (১৪ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন তিনি।
রুনা খান বলেন, ’৯০-এ যখন আমি কলেজে পড়ি, ছাত্র রাজনীতি করি, তখনই আমি বিএনপিতে যোগ দিই। সেসময় প্রেক্ষাপট ছিল এরশাদ সাহেবের সমস্যা চলছিল। ওই সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। যার কারণে বিএনপিতে যোগ দেই।
তিনি বলেন, আমি ঢাকায় আসার পর অনেক চেষ্টা করেছি এইদিকে আসার। কিন্তু কোনো মাধ্যম খুঁজে পাইনি। বলতে পারেন ২০ থেকে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। তারপর জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলাম।
বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জালভোট দেওয়া যায় : চুন্নু
জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবের প্রতি আমার একটা ভালোবাসা ছিল। পরে জি এম কাদেরের নেতৃত্বে বর্তমান জাতীয় পার্টির যে শক্তিশালী অবস্থান। গত দুই-তিন বছর ধরে এটা ফলো করছি।
তিনি বলেন, বিএনপি যা মুখে বলে তা করতে পারছে না। কোনো আন্দোলনই নেতারা দাঁড় করাতে পারেননি। কিন্তু কাদের সাহেবের নেতৃত্বে আজকে জাতীয় পার্টির যে অবস্থান, তাতে আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কারও থেকে কোনো অংশে কম নয় জাতীয় পার্টি।
অনুষ্ঠানে জাপা নেত্রী শেখ রুনার নেতৃত্বে জাপায় যোগ দেন মো. রুহুল আমিন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসির আরাফাত, মো. তামিম বীন সিদ্দিক, মো. অসিন, মো. মিজানুর রহমান।
এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহিত হাওলাদার, মো. সামছুল হুদা, হুমায়ুন কবির শাওন, অ্যাড. আলতাফ হোসেন মণ্ডল, সোহেল রহমান, নাজমুল হাসান রেজা প্রমুখ।