গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের ঈদের কেনাকাটা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে মেয়ের জামাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর জড়িত নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর ও শ্যালকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম (২৮)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার দুই নম্বর ব্লকের তুহিন তালুকদারের ছেলে। গত ৪ মে রোববার রাতে গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলে শ্বশুর বাড়িতে রবিউল ইসলামের সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়ার পর শ্বশুর বাড়ির তাকে লোকজন মারধর করে। এ ঘটনার পাঁচদিন পর গত শুক্রবার বিকেলে টঙ্গীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউলের মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, নিহতের স্ত্রী মোসা. কারিমা (২২), কারিমার বাবা মো. আবুল কালাম আজাদ (৪৫), কারিমার ভাই মো. হুমায়ুন কবির (১৯), তাদের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার বালুঘাট এলাকায়। তারা গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন সাতানীপাড়া এলাকায় গফুরের বাড়িতে ভাড়া থাকে। অপর আসামি শরীয়তপুতের নড়িয়া উপজেলার আটপাড়ার মো. বাবুলের ছেলে মো. লিটন (৪৬)।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে রবিউলের সঙ্গে কারিমার বিয়ে হয়। গত রমজানের ঈদের আগে ৮ এপ্রিল সকালে কারিমার সঙ্গে ঈদ মার্কেটের বিষয় নিয়ে রবিউলের ঝগড়া করে কারিমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে গত ৪ মে রোববার রাত ১১টার দিকে রবিউল শ্বশুর বাড়িতে এলে সেখানে পূর্বের ঈদের কেনাকাটার বিষয় নিয়ে কারিমা ফের রবিউলের সঙ্গে ঝগড়া করে। ঝগড়ার জের ধরে কারিমা তার বাবা ও ভাইসহ অন্যরা রবিউলকে মারধর করে। এ অবস্থায় রবিউল নিজ বাড়িতে চলে আসে। ৯ মে সকালে রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবিউল মারা যায়। পরে রবিউলের বাবা তুহিন তালুকদার এ ঘটনায় বাদী হয়ে ১১ মে পূবাইল থানায় মামলা (নং-০৮) দায়ের করেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত রবিউলের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাদের শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।