কক্সবাজার করেসপনডেন্ট:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় ফেসবুক গ্রুপে তরুণীর ছবি আদান-প্রদান নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধুদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতের এক ভাই। সোমবার (৬ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিব শাহরিয়ার মুরাদ (২০) টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের বাহারছড়া ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কক্সবাজার হার্ভাড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২)।
নিহতের চাচা আরিফ উল্লাহ বলেন, ছবি আদান-প্রদান নিয়ে মুরাদের সঙ্গে তার বন্ধু রফিক উল্লাহ ও আদিলের মধ্যে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে। তার দুই ভাতিজাদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, রাকিবের সঙ্গে শামলাপুর এলাকার পার্শ্ববতী উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নে মনখালী এলাকার রফিক উল্লাহ ও মো. আদিলের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। জনৈক তরুণীর ছবি আদান-প্রদান নিয়ে তাদের বিগত কিছুদিন আগে মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন বিকেলে রাকিব তার এক বড় ভাইকে নিয়ে স্থানীয় শামলাপুর বাজারে যান। এসময় একটি মার্কেটের ভেতর তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রফিক উল্লাহ ও আদিলের নেতৃত্বে ৪-৫ জন যুবক। এতে রাকিব ও মামুন গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত যুবক সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসমান গনি বলেন, ঘটনার পর থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হবে। হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।