20 C
Dhaka
Saturday, January 11, 2025
[adinserter block="1"]

পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি

আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। গত তিন দিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরবরাহ সংকটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানায় খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, কোরবানি ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।

আরো পড়ুন  সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সুলতান আহম্মেদ। তিনি বলেন, বাজারে সব কিছুর দামই চড়া। এখন ধরেন পেঁয়াজের দাম বলছে ১০০ টাকা। আধা ঘণ্টা পর এর দাম ৮০ টাকাও হতে পারে, আবার ১২০ টাকাও বিক্রি করতে পারে।

বাজারের একজন বিক্রেতা জানান, আলাদা করে কারও কাছে পেঁয়াজের মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে, সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসতেছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তেছে। সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করে।

আরো পড়ুন  রেমিট্যান্স এলো ২২২ কোটি ডলার, যেসব ব্যাংকে আসেনি এক টাকাও

এদিকে বাংলাদেশের অন্যতম সুপার শপ মীনা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৪ টাকা দরে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেই সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।

আরো পড়ুন  ইসলামী ব্যাংকের ৩৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের চিঠি

এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। এ হিসাবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।

সর্বশেষ সংবাদ