পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার পর দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। তারা দুইজনই মঙ্গোলিয়ার নাগরিক ছিলেন। এ দুজন নেপাল অংশ দিয়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
তবে তারা তাদের এ দুঃসাহসিক অভিযানে কোনো শেরপার সহায়তা নেননি। এছাড়া সঙ্গে নেননি বাড়তি অক্সিজেনও।
দুই পর্বতারোহীর মৃত্যুর বিষয়টি আজ রোববার (১৯ মে) নিশ্চিত করেছে মঙ্গোলিয়ান ন্যাশনাল ক্লাইম্বিং ফেডারেশন (এমএনসিএফ)।
নিহত পর্বতারোহীরা হলেন ৫৩ বছর বয়সী তেসেদেনদামবা উসুখজারগেল। অপরজন ৩১ বছর বয়সী লাখাগাবাজাভ পুরুভসুরেন।
গত ১৭ মে উসুখজারগেলের মরদেহটি পাওয়া যায় দক্ষিণ সামিটের ৮ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায়। একই দিন ব্যালকনি এরিয়ার ৮ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় মেলে পুরুভসুরেনের মরদেহ।
মঙ্গোলিয়ার পর্বতারোহী সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৩ মে এ দুইজন সফলভাবে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেন। এসব তথ্য পাওয়া গেছে তাদের মোবাইল ফোনে।
মোবাইল ফোনে পাওয়া একটি মর্মস্পর্শী ভিডিওতে উসুখজারগেলকে বলতে শোনা যায়, “মাতৃভূমি ছাড়ার ৫০ দিন পর আমরা অবশেষে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে উঠেছি।”
নেপালি সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, এক শেরপা জানিয়েছেন, যখন এ দুই আরোহী নেমে আসছিলেন তখন তাদের অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়। এতে করে সেখান থেকে নামতে তাদের কষ্ট হচ্ছিল।
তারা দুজন গত ১২ মে নিখোঁজ হন। এর পরের দিন ঠিকই তারা চূড়ায় উঠতে সমর্থ হন। কিন্তু নামার সময় অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়।